অনলাইন ডেক্স:
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় পূর্ণ যুদ্ধবিরতি হলে ইসরাইলের সঙ্গে লড়াই বন্ধ করবে লেবাননে ইরান সমার্থিত প্রতিরোধ যোদ্ধা হিজবুল্লাহ। সংগঠনের উপপ্রধান শেখ নাইম কাসেম এই ঘোষণা দিয়েছেন।
মঙ্গলবার বৈরুতের দক্ষিণ শহর তলিতে হিজবুল্লাহর রাজনৈতিক কার্যালয়ে অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা জানান।
শেখ নাইম কাসেম বলেন, যদি গাজায় যুদ্ধবিরতি হয়, আমরা কোনো আলোচনা ছাড়াই থামব। ইসরাইল-হামাস যুদ্ধে হিজবুল্লাহর অংশগ্রহণ মিত্র হামাসের জন্য একটি সমর্থন ফ্রন্ট হিসেবে। যদি যুদ্ধ বন্ধ হয়ে যায়, এই সামরিক সমর্থন আর থাকবে না, তবে এর বিপরীত হলে দাঁতভাঙ্গা জবাব পেতে হবে
তবে, ইসরাইল আনুষ্ঠানিক যুদ্ধবিরতি চুক্তি এবং গাজা থেকে সম্পূর্ণ সেনা প্রত্যাহার না করলে লেবানন-ইসরাইল সীমান্ত সংঘাত কেমন হবে তা তিনি স্পষ্ট করেননি। তিনি বলেন, গাজায় যা ঘটে তা যদি যুদ্ধবিরতি ও যুদ্ধের মাঝামাঝি হয় তাহলে আমাদের জবাব কেমন হবে, তা এখনো বলতে পারছি না। কারণ আমরা এর ধরন, ফলাফল ও প্রভাব সম্পর্কে এখনো জানি না অবস্থা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
গত অক্টোবর থেকে গাজা যুদ্ধে ইসরাইলি হামলায় ৩৭ হাজার ৮৩৫ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকেই লেবানন সীমান্তে ইসরাইলি সেনা ও হিজবুল্লাহ যোদ্ধারা নিয়মিত পাল্টাপাল্টি হামলা করছে।
হিজবুল্লাহ বলছে, ইসরাইলি সামরিক আগ্রাসনের প্রতিবাদ এবং গাজা উপত্যকায় ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ যোদ্ধাদল হামাসের সমর্থনে তারা ইসরাইলি লক্ষ্যবস্তুতে হামলা করছে। এসব হামলায় দুই পক্ষের বহু প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
গত ১১ জুন ইসরাইলি হামলায় হিজবুল্লাহর শীর্ষ কমান্ডার তালিব সামি আবদুল্লাহ নিহত হলে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা আরও বাড়ে। ইসরাইল এবং হিজবুল্লাহ শত্রু ঘাঁটিতে হামলা জোরদার করে।
ইসরাইলের প্রধান মিত্র যুক্তরাষ্ট্র তেল আবিবকে হিজবুল্লাহর সঙ্গে উত্তেজনা প্রশমনের পরামর্শ দিলেও নেতানিয়াহু সরকার তা আরও বাড়িয়ে চলেছে। এতে দু’পক্ষের মধ্যে আবার নতুন করে যুদ্ধ বেঁধে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।