নিজস্ব প্রতিবেদক:
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় ভাতিজার লাঠির আঘাতে আরজিনা নামে গুরুতর আহত চাচির ১৪দিন পর মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (১ জুলাই) দুপুরে ওই উপজেলার পাটিকাপাড়া ইউনিয়নের উত্তর পারুলিয়ার গ্রামে নিজ বাড়িতে তিনি মারা যান। এর আগে গত ২৬ জুন রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে তাকে বাড়িতে আনা হয়।
নিহত আরজিনা বেগম উপজেলার পাটিকাপাড়া ইউনিয়নের উত্তর পারুলিয়ার গ্রামের গোলাপ হোসেনের স্ত্রী। আর অভিযুক্তরা হলেন গোলাপ হোসেনের ভাই রফিকুল ইসলাম ও তার ছেলে রিপন মিয়া।
জানা গেছে, গত ১৬ জুন উপজেলার উত্তর পারুলিয়া এলাকার রফিকুল ইসলামের পরিবারের মধ্যে কলহ হয়। ওই সময় বাড়ির পাশের রাস্তা দিয়ে চাচি আরজিনা বেগম যাওয়ার পথে ভাতিজা রিপন মিয়া তার উপর হামলা চালায়। এতে গুরুত্বর আহত আরজিনা বেগমকে প্রথমে হাতীবান্ধা হাসপাতালে ও পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
সেখানে টানা ১০দিন চিকিৎসার পর গত ২৬ জুন আহত আরজিনা বেগমকে রংপুর হাসপাতাল থেকে বাড়িতে নিয়ে আসে তার পরিবার। এমতাবস্থায় সোমবার (১ জুলাই) দুপুরে আরজিনা বেগম মারা যান। তার মৃত্যুর পর বাড়িতে তালা দিয়ে পালিয়ে যান রফিকুল ইসলাম ও তার ছেলে রিপন মিয়া।
নিহত আরজিনার ছেলে মাইদুল ইসলাম বলেন, ঈদের আগের দিন রফিকুল চাচার বাড়িতে পারিবারিক কলহ চলছিলো। এসময় বাড়ির পাশের রাস্তা দিয়ে আমার মা যাওয়ার পথে রফিকুল চাচার ছেলে রিপন অতর্কিতভাবে লাঠি দিয়ে তার মাথায় আঘাত করে। এতে মাথায় প্রচন্ড আঘাত পেয়ে রক্তাক্ত জখম হয়। ওই ঘটনার ১৪দিন পর মা মারা যায়। আমার মায়ের হত্যাকারীদের বিচার চাই।