অনলাইন ডেক্স:
৯০ মিনিট শেষে ম্যাচ ১-১ সমতায় শেষ হলে খেলা গড়ায় টাইব্রেকারে। সেখানে মেসি পেনাল্টি মিস করলেও বাকি সকলেই জালের দেখা পান। আর ইকুয়েডরের প্রথম দুই ফুটবলার পেনাল্টি ঠেকিয়ে আবারও নায়ক হয়ে যান এমিলিয়ানো মার্টিনেজ।
ম্যাচের ৬৪তম মিনিটে এনার ভ্যালেন্সিয়া পেনাল্টি মিস না করলে হয়তো খেলা টাইব্রেকারে গড়াত এখন। তবে সেটা আর হয়নি। প্রথম হাফে করা লিসান্দ্রো মার্টিনেজের গোল আর্জেন্টিনাকে ম্যাচের নব্বই মিনিট পর্যন্ত এগিয়ে রেখেছিলো। তবে ৯১তম মিনিটে কেভিন রদ্রিগেজ ইকুয়েডরকে সমতায় ফেরায়। এরপর ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে। কোপা আমেরিকায় কোয়ার্টার ও সেমিফাইনালে নির্ধারিত সময়ের পর অতিরিক্ত ৩০ মিনিট আর খেলা হয় না। ম্যাচ সরাসরি গড়ায় টাইব্রেকারে।
সেই টাইব্রেকারে ইকুয়েডরকে ৪-২ গোলে হারায় আর্জেন্টিনা। আলবিসেলেস্তেদের হয়ে প্রথম পেনাল্টি নেন লিওনেল মেসি। তবে তিনি ক্রসবারে মারেন। কিন্তু ইকুয়েডরের নেয়া প্রথম দুই পেনাল্টি ঠেকিয়ে নায়ক বনে যান আর্জেন্টাইন গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্টিনেজ। আর অপরদিকে আর্জেন্টিনা হয়ে বাকি চার পেনাল্টিতে গোল করেন আলভারেজ, অ্যালিস্টার, মন্টিয়েল ও ওটামেন্ডি।
২০২২ বিশ্বকাপ ফাইনালেও এই মার্টিনেজের বীরত্বে শিরোপা জিতেছিল আর্জেন্টিনা। তখন টাইব্রেকারে কোম্যান ও চুয়ামেনির পেনাল্টি শেভ করে দলকে শিরোপা এনে দিয়েছিলেন এমিলিয়ানো মার্টিনেজ।
এর আগে প্রথম হাফে আক্রমণে আধিপত্য দেখানোর পর দ্বিতীয় হাফেও সেই ধারা বজায় রাখে ইকুয়েডর। বারবার আর্জেন্টিনার শিবিরে হানা দেয় ভ্যালেন্সিয়া-পায়েজরা। এরই মধ্যে ম্যাচের ৬২ মিনিটে পেনাল্টি পায় ইকুয়েডর। ডি-বক্সের ভিতরে ডি পলের হাতে বল লাগলে পেনাল্টি পায় ইকুয়েডর।
তবে পেনাল্টি পেয়েও কাজে লাগাতে পারেনি ইকুয়েডরের স্ট্রাইকার এনার ভ্যালেন্সিয়া। আর্জেন্টাইন গোলরক্ষক বিপরীত দিকে ঝাপ দিলেও ভ্যালেন্সিয়া বারে মারেন। এরপরও বেশকিছু সুযোগ পেয়েছে ইকুয়েডর।
তবে সেসব আক্রমণে তেমন ধার ছিল না। তবে নির্ধারিত সময়ের পর বাড়ানো সময়ের প্রথম মিনিটে ইকুয়েডরকে সমতায় ফেরান কেভিন রদ্রিগেজ। তাতে ১-১ গোলে শেষ হয় আর্জেন্টিনা-ইকুয়েডরের নির্ধারিত সময়ের ম্যাচ।
এর আগে প্রথম হাফের ৩৫তম মিনিটে ম্যাচে নিজেদের প্রথম কর্নার থেকেই গোল পায় আর্জেন্টিনা। মেসির নেয়া কর্নার প্রথম ম্যাক অ্যালিস্টারের মাথায় লেগে পিছনে চলে যায়। তা পেয়ে সহজে হেডে গোল করেন লিসান্দ্রো মার্টিনেজ। এই জয়ে সেমিফাইনাল নিশ্চিত হল আর্জেন্টিনার।
এদিকে এই ম্যাচে আর্জেন্টিনার অধিনায়ক লিওনেল মেসিকে নিয়ে শঙ্কা ছিল। তবে মেসি পুরো ম্যাচই খেলেছেন। যদিও ম্যাচে তার পারফর্মেন্স তেমনটা ভালো ছিল না।
প্রথম হাফে আধিপত্য দেখানোর পর দ্বিতীয় হাফেও আক্রমণের ধার বজায় রাখে ইকুয়েডর। তবে গোল আদায় করতে পারছিল না তারা। ম্যাচের ৬৪ মিনিটে ইকুয়েডরের স্ট্রাইকার এনার ভ্যালেন্সিয়া পেনাল্টি মিস করেন।
এরপর বেশকিছু সুযোগ পেয়েও গোলের দেখা পায়নি ইকুয়েডর।
তবে শেষ পর্যন্ত ৯১তম মিনিটে নাটকীয় গোলে সমতায় ফিরিয়ে ম্যাচ টাইব্রেকারে গড়ায়।