নিজস্ব প্রতিবেদক
খুলনা মুজগুনি প্যাটকা বাজার মোড়ে কতিপয় ব্যাক্তি আওয়ামী লীগের নাম ব্যবহার করে দৃর্ঘদিন ধরে কেরাম বোটের ব্যাবসা করে আসছে। এলাবাসির সূত্রে জানা যায় এখানে সকাল থেকে শুরু করে গভীর রাত পযন্ত এলাকার বখাটে মাদক সেবি কিছু যুবক জুয়া এবং মাদক ব্যাবসা করে আসছে,। নাম প্রকাশে এলাকার কিছু মুরুব্বি বলেন কেরাম বোটের ঘরের পাশে একটি জামে মাসজিদ আছে অনেক সময়ে এই কেরাম বোটের ঘর থেকে মারা মারি গালিগালাজের শব্দের কারনে নামাজের বিঘ্ন ঘটে, তারা আরো বলেন আমারা মুসুল্লিরা কিছু বলতে গেলে আমাদেরকে এই মাদক সেবি ও জুয়ারিরা ঐক্য বদ্ধ হয়ে হুমকি দামকি দেয়, তারা আরো বলেন আমরা বুড়ো মানুষ এই বয়সে এসে অপমান অপদস্ত হতে চাইনা বলে কিছুই বলতে পারি না।
সরেজমিনে যেয়ে দেখা যায় এ-র বাস্তব চিত্র। তারা বলেন আমরা এলাকা বাসি এদের কাছে জিম্মি, তাই তারা গনমাধ্যমকে বলেন আমরা আপনাদের মাধ্যমে প্রসশন ও সরকারের কাছে যানাতে চাই,।
পৃথিবীর কোন ধর্মই মাদক দ্রব্যের ব্যবহারকে অনুমোদন করেনি। আর ইসলামের দৃষ্টিতে সকল প্রকার মাদক দ্রব্যের ব্যবহার একটি জঘন্য ধর্মীয় ও সামাজিক অপরাধ। তাই ইসলামী শরীআতে মদ্যপান সম্পূর্ণ ভাবে হারাম ও নিষিদ্ধ বলে ঘোষিত হয়েছে। হাদীস শরিফে বর্ণিত আছে মদ ও ঈমান একত্র হতে পারে না (নাসাঈ শরিফ)। অর্থাৎ কোন মুসলমান মদ গ্রহণ ও বহন করতে পারে না।
সমাজের নেতৃত্বস্থানীয় জনপ্রতিনিধি বা রাজনৈতিক দলের নেতা নেত্রীগণ যদি মাদক দ্রব্যের প্রসার রোধের দৃঢ়সংকল্প নিয়ে প্রচেষ্টা চালান তাহলে দেশকে মাদকমুক্ত রাখা সম্ভব হবে। যারা মাদক দ্রব্য প্রস্তুত, এর প্রচলন ও সরবরাহ কাজে জড়িত তাদেরকে দেশ ও জাতির স্বার্থে এ ঘৃণ্য কাজ বর্জন করা উচিত। তারা সমাজকে সুন্দর সুশৃঙ্খল করার জন্য নিজেদের আর্থিক ফায়দা লুটার পরিবর্তে মদসংক্রান্ত যাবতীয় কার্যক্রম থেকে বিরত থাকবে। এক্ষেত্রে সরকারের ভূমিকাই যথেষ্ট।
পিতা-মাতা, অভিভাবকবৃন্দ যারা পরিবার প্রধানের দায়িত্বে নিয়োজিত আছেন, তারা নিজেদের সন্তানদের মাদক দ্রব্যের ক্ষতি সম্পর্কে ভালভাবে অবহিত করবেন এবং তাদের মধ্যে ও কু-অভ্যাস যেন কোন মতেই গড়ে উঠতে না পারে, সে ব্যাপারে সদা সর্তক থাকবেন। তারা যাতে অসৎ ও দুশ্চরিত্র বন্ধু বান্ধব ও সঙ্গী-সাথী যোগাড় না করতে পারে বা তাদের সাথে মিশতে না পারে, সে ব্যাপারে সুদৃষ্টি রাখবেন। সন্তানদের স্নেহ ও মায়া-মমতা দিয়ে সর্বদা কাছে রাখবেন এবং পারিবারিক বন্ধন সুদৃঢ় করবেন। পিতা-মাতার প্রধান দায়িত্ব সন্তানকে প্রথমে ধর্মীয় নৈতিক শিক্ষায় শিক্ষিত করা।
এ বিষয়ে এলাকাবাসীর দাবি প্রসাশন যেন সদয় হয়ে কার্যকরি পদক্ষেপ গ্রহন করে এলাকা থেকে মাদক নির্মূল করবে এটাই আমাদের সবার দাবী।