1. admin@goyendanews.com : admin :
সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:০৬ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
সুন্দরবন থেকে অবৈধ সম্পদ আহরণ বন্ধে সচেতনতামূলক সভার আয়োজন মঠবাড়িয়ায় জমি বিরোধে প্রতিপক্ষের হামলায় মসজিদের ইমামত আহত মোংলা উপজেলায় নবলোক পরিষদ কর্তৃক ৬৫১ জন উপকারভোগীর মাঝে চারা বিতরণ। মোংলা উপজেলায় নবলোক পরিষদ কর্তৃক উপকারভোগীদের দক্ষতা উন্নয়ন বিষয়ক প্রশিক্ষন। নোয়াপাড়া সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে কলম বিরতি পালন। মঠবাড়িয়ায় ষষ্ঠ শ্রেনীর স্কুল ছাত্রী’র আত্মহত্যা পুলিশ সুপারের সাথে বিশ্ব মানবাধিকার ফাউন্ডেশন নড়াইল সদর কমিটির সৌজন্য সাক্ষাৎ। সকালের সময়ের মঠবাড়িয়া প্রতিনিধির পিতা আব্দুস সাত্তারের প্রথম মৃত্যু বার্ষিকী। জেনে রাখা ভালো। মঠবাড়িয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে উপজেলা প্রেসক্লাবের মতবিনিময় সভা।

ওয়াইল্ডটিমের শুভ বিশ্ব বাঘ দিবস ২০২৪ উদ্যাপন অনুষ্ঠানে শিশু-কিশোরদের অঙ্গীকার

রিপোটারের নাম
  • প্রকাশের সময় : সোমবার, ২৯ জুলাই, ২০২৪
  • ৪১ বার পঠিত

মোঃমারুফ বাবু, বাগেরহাট জেলা প্রতিনিধিঃ

মোংলা উপজেলা চিলা ইউনিয়নে ওয়াইল্ডটিম কনজারভেশন বায়োলজি সেন্টারে ২৯ জুলাই ২০২৪ (সোমবার) সকাল ১০ টায় বিশ্ব বাঘ দিবস পালন করা হয়। ২০১০ সালে রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গে পৃথিবীর ১৩টি দেশের যেখানেই বাঘ রয়েছে সে সকল দেশের নেতৃবৃন্দ বাঘ সংরক্ষণের উপায় নির্ধারণের জন্য এক সম্মেলনে যোগ দেন।ওই সভায় সিন্ধান্ত গৃহীত হয় যে বাঘ সংরক্ষণে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রতি বছর ২৯ জুলাই বিশ্ব বাঘ দিবস হিসেবে পালিত হবে,এবং ২০২২ সালের মধ্যে বিশ্বে বাঘের সংখ্যা দ্বিগুণ করতে হবে এবং এদের বাসস্থান সুরক্ষিত করতে হবে।ওই বছর পৃথিবীতে প্রাকৃতিক পরিবেশে টিকে ছিল মাত্র ৩২০০টি বাঘ যা সকলকে দুঃশ্চিন্তায় ফেলেছিল।

অথচ ১০০ বছর আগেও পৃথিবীর বাঘের সংখ্যা এক লক্ষ ছিল।সুখের কথা উল্লিখিত প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ভারত,নেপাল ও ভুটান তাদের দেশে বাঘের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়িয়েছে।বর্তমানে বাঘের সংখ্যা ৫৫৭৪টি,এর মধ্যে ৩৬৮২টির বসবাস ভারতে।অর্থাৎ ভারত বর্তমানে পৃথিবীর ৭৫% ভাগ বাঘের বাসস্থান।

বাংলাদেশের প্রায় সর্বত্র একসময় বাঘ বসবাস করত। বর্তমানে সুন্দরবনই এদের শেষ আশ্রয়স্থল। বাংলাদেশের সুন্দরবনে ২০১৮ এর জরিপে ১১৪টি বাঘ রয়েছে।

ওয়াইল্ডটিম তাদের কনজারভেশন বায়োলজি সেন্টারে বিশ্ব বাঘ দিবস উদ্যাপন উপলক্ষে সুন্দরবন সংলগ্ন গ্রামের শিশু কিশোরদের নিয়ে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, গল্পবলা,কার্টুন চিত্র প্রদর্শনী ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।শিশু কিশোররা ওয়াইল্ডটিমের সুন্দরবন জাদুঘর ও তথ্যকেন্দ্রের নমুনা ও সুন্দরবনের ডিওরামা দেখে সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য সম্পর্কে সম্যক ধারণা পায়।অংশগ্রহণকারী শিশু কিশোররা বেশ কিছু অঙ্গীকারও করে যেমন #iStandFor Taiger, বাঘ আমাদের গর্ব,বাঘ সুরক্ষা করব,হরিণের মাংসকে ‘না’ বলি, বিষটোপ দিয়ে মাছ ধরব না।

অনুষ্ঠানটি আই ইউ সি এন এর ইন্টিগ্রেটেড টাইগার হেবিট্যাট কনজারভেশন প্রোগ্রাম এর সহযোগিতায় অনুষ্ঠিত হয়।প্রোগ্রামটি জার্মান সরকারের কে এফ ডবিøউ উন্নয়ন ব্যাংকের সহায়তায় চলমান রয়েছে।

অনুষ্ঠানে স্থানীয় সরকারের প্রতিনিধি,বন বিভাগের কর্মকর্তা,শিক্ষক ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত থেকে শিশু-কিশোরদের উৎসাহিত করেন এবং পুরস্কার বিতরণ করেন। অনুষ্ঠান শেষে টাইগার স্কাউটের “সুন্দরবন আমাদের মা” গানটি উপস্থিত সকলকে আবেগাপ্লুত করে এবং বাঘ ও সুন্দরবন সংরক্ষণে উজ্জীবিত করে।

Facebook Comments Box
এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ
© স্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৪ গোয়েন্দা নিউজ
প্রযুক্তি সহায়তায় Shakil IT Park